কোনদিন যদি আল্লাহ আমাদের ডান কাধের ফেরেশতারে স্লো করে দেন তাহলে দেখা যাবে আমাদের ভালো কাজগুলো ফেরেশতা লেখার আগেই ফেসবুকে চলে এসেছে! মানে কাজকর্ম আমল নামায় উঠার আগেই ফেসবুক ওয়ালে উঠে যাবে! যদিও শো-অফ খারাপ তাও কিছুটা মানা যায়, কিন্তু ভাবনার বিষয় হল ধর্মীয় ব্যাপারগুলোরেও শো-অফ নামক মানসিক রোগে আক্রান্ত মানুষগুলো ছাড় দিচ্ছে না!
আপনি লাইফ শেয়ার করতেই পারেন, দামি গাড়ী আছে সেটা শেয়ার করতেই পারেন, দামী ঘড়ি, স্বর্নের দাত তাও সমস্যা নেই। আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুদের সাথে অল্পবিস্তর লাইফ শেয়ার করা খারাপ না কিন্তু এটা যখন নেশায় পরিণত হয় সেটা সমস্যারই বটে, ব্যাপারটায় লিমিট বজায় রাখতে পারাটাই সুন্দর
আর একবার যখন লিমিট ক্রস করে ফেলবেন তখন দেখবেন একবার সিজদা দিয়ে দুইবার পোস্ট দিচ্ছেন। একবার উমরা করে দশবার জানাচ্ছেন, ইসলামরে খুব ভালবাসেন বুঝাতে মসজিদের ভিতর সেলফি তোলা শুরু করছেন, ইভেন পবিত্র কুরআন, হাদীসের বইয়ের সাথেও অযথা সেলফি তুলছেন। অথচ আপনার জীবনের মেজর অংশটা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত থাকার কথা ছিল, ধর্মীয় জীবনের বেলায় সেটা আরও নীরব ও গোপন থাকার কথা ছিল।
মূল কথা হল, টুকটাক লাইফের ইভেন্ট শেয়ার হতেই পারে, কিন্তু পুরো জীবনটা না, এজ সিম্পল এজ দ্যাট।
সাজ্জাদ হোসাইন খান।