টেনিস খেলার সাথে আমাদের দেশের সম্পর্ক একেবারে কমই বলা যায় তারপরও এই খেলার নাম শুনলে যে কয়েকজনের কথা আমাদের মাথায় আসে তার ভিতর নোভাক জোকোভিচ অন্যতম। সহজেই বুঝা যাচ্ছে যেসব দেশে টেনিশ জনপ্রিয় খেলা সেসব দেশে তার নামের জনপ্রিয়তা কেমন হবে, বলা যায় জোকোভিচ হল টেনিসের মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো! এত পুরষ্কার, জনপ্রিয়তা রাতারাতি হয়ে যায় নি, দীর্ঘ সময় ধরে টানা পরিশ্রমের ফলাফল হিসেবেই তার সমস্ত পাওয়া। কখনো যে ছিটকে পড়েন নি ট্র্যাক থেকে তাও না, তবে ক্যরিয়ারে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলে কামব্যাক করেছেন আরও শক্তি নিয়ে। কি সেই মন্ত্র? যা তাকে বারবার উঠে দাড়াতে, এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। চলুন তার একটা সাক্ষাৎকার থেকে অল্প কথায় বিশাল ব্যাপারটা জেনে নেই-

 

একটা টুর্নামেন্টের ম্যাচ শেষে এক সাংবাদিক নোভাক’কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন,

৩৫বছর বয়সে আপনি নিঃসন্দেহে সবথেকে অভিজ্ঞ প্লেয়ার, অনেক অর্জন, এসব কি তরুণ প্লেয়ারদের সাথে ম্যাচ খেলতে আপনাকে এক্সট্রা মোটিভেশান দেয় না? 

 

নোভাক জোকোভিচ হাসিমুখে জানায়,

তরুণদের বিপক্ষে…! আমিই তো একজন উদীয়মান তরুণ প্লেয়ার, সদ্য পঁচিশে পা দেয়া বয়সের মতন!  

 

এটাই আসলে কনফিডেন্স! প্রতিদিন নিজের বেস্ট ভার্শনে হাজির হওয়া, নিজেকে লক্ষ্যে ধরে রাখার সরল মন্ত্র! কোন শক্ত রুটিন না, প্রতিদিন খুটিয়ে খুটিয়ে ট্র্যাক করা না, শুধু কাজ করার সময় নিজের প্রতি আস্থা থাকা যে সামনে যে-ই আসুক, যা-ই হোক আমি আমার কাজ করে ফেলব হয়তো সময় অন্যদের থেকে কিছুটা বেশি লাগতে পারে কিন্তু ফলাফল আমি আমার পক্ষেই আনব, এক কদম করে হলেও আগাবো, এক সেন্ডের জন্যও বসে থাকব না, হামাগুড়ি দিয়ে হলেও আগাবো, একটু একটু করে হলেও এগিয়ে যাব-ই। প্রতিদ্বন্দ্বীর অভিজ্ঞতা, সফলতার লিস্ট আমার দেখার দরকার নেই, আমি সফল হতে চাই এটাই মূলকথা।

 

নোভাক জোকোভিচ আমাদের এই সত্যটাই শিখায়, নিজের কাজে কনফিডেন্ট থাকা, পজিটিভ থাকা, আর বেশিকিছু লাগে না, এতটুক হলেই মানুষ পরিশ্রম করে অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারে। একেবারে সব বাধা-বিপত্তির কথা মাথা থেকে সরিয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করে কাজ করতে থাকা এবং বিশ্বাস রাখা যে ভোরের সূর্যের নরম আলো আমার কপালে চুমু দিবেই ইনশাআল্লাহ।

 

(Photo by Marco BERTORELLO / AFP) (Photo by MARCO BERTORELLO/AFP via Getty Images)