নেপোলিয়ন হিল এর মতে,
একজন মানুষ রাতারাতি অন্যদের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র/ আইডল হয়ে যায় না, সবার কাছে নিজের আদর্শ, কর্মপন্থা, চিন্তা-চেতনা মেলে ধরতে যে নলেজ লাগে সেটা আসলে একজন ব্যক্তি অর্জন করে অন্য সফল আইডলদের সত্যিকারের ফলোয়ার হয়ে।
ব্যাপারটা আসলেই এমন, ইউটিউবের যুগে এটা আরও ক্লিয়ার বুঝা যাচ্ছে, সমাজের প্রতিষ্ঠিত চিন্তাশীল মানুষদের বক্তব্য সবাই শুনছি, আজকে একজনের তো আগামীকাল আরেকজনের, এভাবে টিভির রিমোটে চ্যানেল চেঞ্জ হওয়ার মতই এক এক করে অনেকেই আমাদের সামনে কথা বলে যাচ্ছে, যার ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে গভীর ভাবে কারো চিন্তার দিকেই তাকানো হচ্ছে না!
ফলশ্রুতিতে আমাদের নিজস্ব চিন্তার স্পেসটা তৈরি হচ্ছে না, যেটা হচ্ছে তা হল, আরেকজনের হুবুহু থট আমরা কপি করে ডেইলি লাইফে ইনজেক্ট করছি এবং নিজেরাও ছোট ছোট সার্কেলে অনেকে একসাথে আবদ্ধ হচ্ছি, এটাই দিনশেষে চিন্তার দিক থেকে একটা ধম বন্ধ হয়ে আসার মত অনুভব দিচ্ছে, যেটা ভয়াবহ!
কেন সবার সাথে থাকার পরও আমাদের কিছু সিলেক্টেড পারসন থাকা দরকার? এর উত্তরে আবারো নেপোলিয়নের কাছে ফিরে যাই, তিনি জানাচ্ছেন,
ফলোয়ার হিসেবে একজন ব্যক্তি যখন নলেজ অর্জন করতে শুরু করে তখন সে আরও গভীরে তাকাতে সক্ষম হয়, মানে তার আইডল যে বৃষ্টি হওয়ার আশংকা থাকলেই ছাতা নিয়ে বের হচ্ছে এমন ছোট ছোট জিনিস থেকে একেবারে এ টু জেড হাতে কলমে শেখার সুযোগ তৈরি হয়, এতে করে ধীরেধীরে ফলোয়ার মানুষটাই অনেকের কাছে পথপ্রদর্শক হয়ে উঠে কারণ লাইফ স্টাইলের সবখানেই তার বুদ্ধিভিত্তিক উপস্থিতির একটা জায়গা তৈরি হয়।
ব্যাপারটার সাথে কেউ যদি গুরুমুখী শিক্ষার যোগসূত্র খুজে পায় সেটাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে অবশ্যই এপ্রিশিয়েট করব কারণ প্রাচীন এই শিক্ষাপদ্ধতিকে পুরোপুরি টপকে যেতে পারে এমন কোন পদ্ধতি এখনো এস্টাবলিশড হয় নি, নলেজ অর্জনের ক্ষেত্রে এখনো গুরুমুখী শিক্ষা শতভাগ কার্যকরী একটি সিস্টেম।